০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সেমিনার, দিনব্যাপী রক্তদান ও বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষা

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:২৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫১৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সেমিনার, দিনব্যাপী রক্তদান ও বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষ

 

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী কর্মসূচি-সচেতনতামূলক সেমিনার, স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং থ্যালাসেমিয়ার বাহক শনাক্তে বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষা।

মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট-২৫) বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও কাস্টমস ক্লাব বেনাপোলের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার ও কাস্টমস ক্লাব বেনাপোলের সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষ থেকে এ ধরনের জনস্বাস্থ্য উদ্যোগে ধারাবাহিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদাণ করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট উইং) এবং কাস্টমস এন্ড ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটি (সিভিসিএস) লিমিটেডের উপদেষ্টা ড. এস এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মানবিক উদ্যোগ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায়; এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিত হলে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিয়া ইসলাম। তিনি থ্যালাসেমিয়া কী, কীভাবে বংশগতভাবে ছড়ায় এবং বিবাহের পূর্বে স্ক্রিনিং, জেনেটিক কাউন্সেলিং ও নিয়মিত রক্তদানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় দিকনির্দেশনা দেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর-এর কমিশনার শেখ আবু ফয়সাল মোঃ মুরাদ, বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে প্রি-ম্যারিটাল স্ক্রিনিংকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা, বাহক শনাক্তকরণ কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং নিয়মিত রক্তদানের মতো উদ্যোগ দ্রুত ফল দিতে পারে।

দিনব্যাপী আয়োজনে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের ওপর প্রশ্নোত্তর, ব্রোশার বিতরণ ও বিনামূল্যে স্ক্রিনিংয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, বন্দর ও সীমান্তঘেঁষা এলাকাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের কর্মসূচি চলবে।

ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বলেন, বিবাহের আগে দম্পতিদের স্ক্রিনিং করানো এবং রক্তদানে নিয়মিত অংশগ্রহণ-এই দুটো অভ্যাসই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করবে। এছাড়া, একই প্ল্যাটফর্মে সেমিনার, রক্তদান ও স্ক্রিনিং-এই তিনটি কার্যক্রম একসঙ্গে আয়োাজনের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করা। নিয়মিত এমন আয়োজন হলে থ্যালাসেমিয়া-মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে জানান ।

 

সর্বাধিক পঠিত

বেনাপোলে যুবদল বনাম ছাত্রদলের প্রীতি ফুটবল ম্যাচে যুবদলের জয়

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সেমিনার, দিনব্যাপী রক্তদান ও বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষা

আপডেট: ০৭:২৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সেমিনার, দিনব্যাপী রক্তদান ও বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষ

 

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী কর্মসূচি-সচেতনতামূলক সেমিনার, স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং থ্যালাসেমিয়ার বাহক শনাক্তে বিনামূল্যে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষা।

মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট-২৫) বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও কাস্টমস ক্লাব বেনাপোলের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার ও কাস্টমস ক্লাব বেনাপোলের সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষ থেকে এ ধরনের জনস্বাস্থ্য উদ্যোগে ধারাবাহিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদাণ করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট উইং) এবং কাস্টমস এন্ড ভ্যাট কো-অপারেটিভ সোসাইটি (সিভিসিএস) লিমিটেডের উপদেষ্টা ড. এস এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মানবিক উদ্যোগ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায়; এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিত হলে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিয়া ইসলাম। তিনি থ্যালাসেমিয়া কী, কীভাবে বংশগতভাবে ছড়ায় এবং বিবাহের পূর্বে স্ক্রিনিং, জেনেটিক কাউন্সেলিং ও নিয়মিত রক্তদানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় দিকনির্দেশনা দেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর-এর কমিশনার শেখ আবু ফয়সাল মোঃ মুরাদ, বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে প্রি-ম্যারিটাল স্ক্রিনিংকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা, বাহক শনাক্তকরণ কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং নিয়মিত রক্তদানের মতো উদ্যোগ দ্রুত ফল দিতে পারে।

দিনব্যাপী আয়োজনে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের ওপর প্রশ্নোত্তর, ব্রোশার বিতরণ ও বিনামূল্যে স্ক্রিনিংয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, বন্দর ও সীমান্তঘেঁষা এলাকাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের কর্মসূচি চলবে।

ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বলেন, বিবাহের আগে দম্পতিদের স্ক্রিনিং করানো এবং রক্তদানে নিয়মিত অংশগ্রহণ-এই দুটো অভ্যাসই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করবে। এছাড়া, একই প্ল্যাটফর্মে সেমিনার, রক্তদান ও স্ক্রিনিং-এই তিনটি কার্যক্রম একসঙ্গে আয়োাজনের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করা। নিয়মিত এমন আয়োজন হলে থ্যালাসেমিয়া-মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে জানান ।