বৈষম্য নিরসন এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানসহ মোট ছয় দফা দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে শার্শা উপজেলা হাসপাতালের সামনে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
স্বাস্থ্য সহকারীরা জানিয়েছেন, তারা জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করতে চাননি, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণেই বাধ্য হয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন।
তাদের মূল দাবিগুলো হলো:
নিয়োগবিধি-২০২৪ বাস্তবায়ন।বেতন বৈষম্য নিরসন।টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।
তারা আরও জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও প্রস্তাব অনুযায়ী দাবিগুলো প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হলেই তারা অবিলম্বে কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য সহকারীদের ভূমিকা
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বাস্থ্য সহকারীরা বলেন, তারা মূলত প্রান্তিক পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিসহ জনস্বাস্থ্যের সেবায় সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে কাজ করেন। জন্মের পর শিশুর সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য ১০টি মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করাও তাদের দায়িত্ব।
তাদের কাজের ফলেই বাংলাদেশ বিশ্বে টিকাদানের ‘রোড মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশ থেকে গুটি বসন্ত দূর হয়েছে, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে এবং পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। এছাড়া হাম, রুবেলা, করোনা, জরায়ূমুখের ক্যান্সার (এইটপিভি) এবং সর্বশেষ প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে টাইফয়েড (টিসিভি) টিকা তারা সাফল্যের সঙ্গে প্রদান করেছেন।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আকলিমা খাতুন বলেন, “আমাদের কাজের ফলে দেশে গড় আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত সুপরিচিতি লাভ করেছে। আমাদের কাজের বিনিময়ে স্বাস্থ্য বিভাগ গর্বিত। আজ আমরাই অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার।”
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এফপিআই আবুল খায়ের, আলাউদ্দিন আল আজাদ, এফডব্লিভি মিতা খাতুন, শিরিন সুলতানা, নাসিমা খাতুন, এফডব্লিএ সাফিয়া খাতুন, নাজমা খাতুনসহ আরও অনেকে।