যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনকে গলার কলার ধরে বের করে দেওয়া এবং এক নারীকে লাঞ্ছিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবায়ের আহম্মেদ।
জানা যায়, যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা নাহিদ ও নিলিমা দম্পতি তাদের শিশু সন্তানের গলায় কাটা বাঁধার চিকিৎসা নিতে এসে রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এই হয়রানির শিকার হন।
‘লাইট কিনে আনতে হবে’ মন্তব্যে বিতর্কের সূত্রপাত
ভুক্তভোগী নাহিদ ও তার স্ত্রী নিলিমা জানান, শিশুর গলার সমস্যার জন্য তারা জরুরি বিভাগে যান। ডাক্তার আসার পর দেখে চলে গেলে নিলিমার শ্বশুর তার সঙ্গে কথা বলতে যান। ডাক্তার তখন জানান, পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইট নেই।
এসময় তারা প্রশ্ন করেন— “লাইট কি তাহলে আমরা কিনে আনবো?”—এই প্রশ্নটি করার সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তার ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং বলেন, “চলে যান, আপনাদের রোগী দেখা হবে না।”
লাঞ্ছনা ও হাতাহাতির অভিযোগ
ভুক্তভোগী দম্পতি অভিযোগ করেন, এই কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ডাক্তার ও তার সহযোগীরা নাহিদের গলার কলার ধরে বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাদের লাঞ্ছিত করেন। এমনকি দরজা আটকে দিয়ে নিলীমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতির রূপ নেয়। অবশেষে, কোনো প্রকার চিকিৎসাসেবা না নিয়েই স্বজনরা হাসপাতাল থেকে ফিরে যান এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযুক্ত ডাক্তারের দাবি: অভিযোগ ভিত্তিহীন
তবে অভিযুক্ত ডাক্তার ডা. জোবায়ের আহম্মেদ ‘রাতদিন নিউজ’-এর কাছে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ডা. জোবায়ের বলেন, গলার কাটা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র তাদের কাছে ছিল না—এ কথা বলার পরই নাহিদ উল্টো অভিযোগ করেন যে ডাক্তার তার বাবার কলার ধরেছেন। ডাক্তারের দাবি, কলার ধরা বা লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেনি এবং অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং, নাহিদ ও তার লোকজনই খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম:
যশোর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
-
নিউজ ডেস্ক - আপডেট: ০৭:৪৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৫০৬
সর্বাধিক পঠিত










