০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

সিরাজগঞ্জে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক ‘উধাও

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৩

দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বয়স্ক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষকের প্রথম স্ত্রী শামীমা জাহান থানায় লিখিত অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে।
অভিযোগ সূত্রে যা জানা গেল
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন তাড়াশ পৌর এলাকার শোলাপাড়া গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে এবং রঘুনিলি মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. মনোয়ার হোসেন। তাঁর সঙ্গে একই উপজেলার খুটিগাছা গ্রামের মো. আব্দুস সালামের কন্যা ও শোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
কয়েক দিন আগে শিক্ষক মনোয়ার হোসেন হঠাৎ বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। স্বামীর খোঁজ না পেয়ে স্ত্রী শামীমা বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করতে থাকেন। পরে গোপনে সংবাদ পেয়ে গত মঙ্গলবার শামীমা খুঁটিগাছা তালপুকুর পাড়ে আব্দুস সালামের বাড়িতে গিয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রী সাদিয়া খাতুনকে একই বিছানায় দেখতে পান এবং এর কারণ জানতে চান।
স্ত্রীর ওপর হামলা ও হুমকি
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন ও প্রেমিকা সাদিয়ার স্বজনরা মিলে শামীমা জাহানকে গালাগাল করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিরুপায় হয়ে শামীমা জাহান বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ
প্রথম স্ত্রী শামীমা জাহান, যিনি নিজেও একজন স্কুলশিক্ষক, অভিযোগ করে বলেন:
“আমার স্বামী চরিত্রহীন। এর আগেও তাঁর স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আমার প্রথম মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাকে শুধরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হলাম। আমি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই।”

অভিযুক্ত শিক্ষকের মন্তব্য ও পুলিশের বক্তব্য
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনোয়ার হোসেনকে কল দেওয়া হলে তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি সারাদিন অফিসের কাজে বাইরে ছিলেন। বিষয়টি জেনে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

সর্বাধিক পঠিত

ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ: ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করলো কেন্দ্রীয় কমিটি

সিরাজগঞ্জে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক ‘উধাও

আপডেট: ০৭:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বয়স্ক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষকের প্রথম স্ত্রী শামীমা জাহান থানায় লিখিত অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে।
অভিযোগ সূত্রে যা জানা গেল
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন তাড়াশ পৌর এলাকার শোলাপাড়া গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে এবং রঘুনিলি মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. মনোয়ার হোসেন। তাঁর সঙ্গে একই উপজেলার খুটিগাছা গ্রামের মো. আব্দুস সালামের কন্যা ও শোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
কয়েক দিন আগে শিক্ষক মনোয়ার হোসেন হঠাৎ বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। স্বামীর খোঁজ না পেয়ে স্ত্রী শামীমা বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করতে থাকেন। পরে গোপনে সংবাদ পেয়ে গত মঙ্গলবার শামীমা খুঁটিগাছা তালপুকুর পাড়ে আব্দুস সালামের বাড়িতে গিয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রী সাদিয়া খাতুনকে একই বিছানায় দেখতে পান এবং এর কারণ জানতে চান।
স্ত্রীর ওপর হামলা ও হুমকি
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন ও প্রেমিকা সাদিয়ার স্বজনরা মিলে শামীমা জাহানকে গালাগাল করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিরুপায় হয়ে শামীমা জাহান বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ
প্রথম স্ত্রী শামীমা জাহান, যিনি নিজেও একজন স্কুলশিক্ষক, অভিযোগ করে বলেন:
“আমার স্বামী চরিত্রহীন। এর আগেও তাঁর স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আমার প্রথম মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাকে শুধরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হলাম। আমি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই।”

অভিযুক্ত শিক্ষকের মন্তব্য ও পুলিশের বক্তব্য
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনোয়ার হোসেনকে কল দেওয়া হলে তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি সারাদিন অফিসের কাজে বাইরে ছিলেন। বিষয়টি জেনে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।