০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জনস্রোত, অপেক্ষায় নতুন দলের আত্মপ্রকাশের

  • নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬১১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। তরুণ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। আর কিছু সময় পরই দলটির আত্মপ্রকাশ হবে। তরুণদের নতুন এই দলের নাম হবে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। যার ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)।

ইতোমধ্যে দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম একবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক এবং সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা তিনটায় দলটির আত্মপ্রকাশ ঘিরে বড় জমায়েতের লক্ষ্য করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এরই অংশ হিসেবে দলে দলে মিছিল নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন তরুণরা।

দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা। নতুন দল গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার ও সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে। পাশে দাঁড়াবে গণমানুষের, করবে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, এমন প্রত্যাশা আগতদের।

সমাবেশে যোগ দিতে দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে আসছেন প্রবীণরাও। বিগত দিনের রাজনীতির খুঁটিনাটি ভুল এবং তা থেকে উত্তরণে তরুণদের ওপর আস্থা তাদের।

সাধারণ মানুষও স্বাগত জানিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দলকে। আগের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার মসনদে বসে নিজেদের আখের গুছিয়েছে দাবি করে তারা বলছেন, এবার সুযোগ পাওয়া উচিত তরুণ সমাজের।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে করা হয়েছে অস্থায়ী মূল মঞ্চ। মঞ্চের সাজসজ্জায় স্থান পেয়েছে আবু সাঈদের প্রসারিত হাত আর আর জুলাই বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি। ৩৬ রাজনৈতিক দলসহ ৫১টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই আয়োজনে। তাদের জন্যও রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

সমাবেশস্থলে স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, সতর্ক অবস্থানে আছে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

এমআর

সর্বাধিক পঠিত

ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ: ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করলো কেন্দ্রীয় কমিটি

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জনস্রোত, অপেক্ষায় নতুন দলের আত্মপ্রকাশের

আপডেট: ০৪:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। তরুণ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। আর কিছু সময় পরই দলটির আত্মপ্রকাশ হবে। তরুণদের নতুন এই দলের নাম হবে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। যার ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)।

ইতোমধ্যে দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম একবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান সমন্বয়কারী, হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক এবং সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা তিনটায় দলটির আত্মপ্রকাশ ঘিরে বড় জমায়েতের লক্ষ্য করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এরই অংশ হিসেবে দলে দলে মিছিল নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন তরুণরা।

দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা। নতুন দল গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার ও সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে। পাশে দাঁড়াবে গণমানুষের, করবে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, এমন প্রত্যাশা আগতদের।

সমাবেশে যোগ দিতে দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে আসছেন প্রবীণরাও। বিগত দিনের রাজনীতির খুঁটিনাটি ভুল এবং তা থেকে উত্তরণে তরুণদের ওপর আস্থা তাদের।

সাধারণ মানুষও স্বাগত জানিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দলকে। আগের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার মসনদে বসে নিজেদের আখের গুছিয়েছে দাবি করে তারা বলছেন, এবার সুযোগ পাওয়া উচিত তরুণ সমাজের।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে করা হয়েছে অস্থায়ী মূল মঞ্চ। মঞ্চের সাজসজ্জায় স্থান পেয়েছে আবু সাঈদের প্রসারিত হাত আর আর জুলাই বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি। ৩৬ রাজনৈতিক দলসহ ৫১টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই আয়োজনে। তাদের জন্যও রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

সমাবেশস্থলে স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, সতর্ক অবস্থানে আছে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

এমআর