মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলি তার ঘাড়ে লাগে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বক্তৃতাকালে হঠাৎ গুলির শব্দ হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কার্ক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল আতঙ্কে বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে।
ঘটনার পরপরই এফবিআই একজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেয়। সংস্থার পরিচালক কাশ প্যাটেল এক্স-এ লিখেছেন, চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি হেফাজতে আছেন।
ইউটাহর গভর্নর স্পেন্সার কক্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটি আমাদের রাজ্যের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন এবং দেশের জন্য এক শোকের দিন। এটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”
৩১ বছর বয়সী কার্ক সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তরুণদের উদ্দেশে ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’ পরিচালনা করছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ বিভিন্ন নেতা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।