যশোরের বেনাপোল বাহাদুরপুর মোড়ে নবনির্মিত লাইট পোস্টের খাম্বায় ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হওয়া মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর ইমন হোসেন (১৭) আর নেই। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ইমন বেনাপোল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকরাম হোসেনের ছোট ছেলে।
দুর্ঘটনার বিবরণ
মরহুমের বন্ধু হৃদয় মোল্লা জানান, গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ইমন এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে বেনাপোল বাজার থেকে বাহাদুরপুর যাচ্ছিল। বাহাদুরপুর মোড়ে পৌঁছালে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের ওপর নবনির্মিত লাইট পোস্টের একটি বড় খাম্বায় তার মোটরসাইকেল সজোরে ধাক্কা লাগে।
ধাক্কার ফলে ইমন রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। তাকে প্রথমে নাভারণ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত যশোর সদর হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাথায় শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। ইমনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা থেকে মরদেহ আসার পর আগামীকাল শুক্রবার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে বেনাপোল ওয়ার্ডের গণকবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ: অপ্রয়োজনীয় নির্মাণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি
এই ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বেনাপোল পৌরসভার সদ্য বিদায়ী পৌর প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান মাত্রাতিরিক্ত উৎসাহী হয়ে অত্যন্ত সরু ও ব্যস্ততম বাহাদুরপুর পঞ্চমুখী মোড়ে বিশাল আকৃতির ‘ঝিকঝাক লাইট পোস্ট’ ও ‘গোলচত্বর’ নির্মাণ করেছেন, যা রাস্তার প্রায় অর্ধেক জায়গা দখল করে নিয়েছে।
তাদের অভিযোগ, এই অপ্রয়োজনীয় কাঠামোর কারণে ওই স্থানে নিয়মিত যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। তারা আরও বলেন, ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকা, ‘আই লাভ বেনাপোল’ লাইটবোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় অপ্রয়োজনীয় কাঠামো নির্মাণ করে সড়ক সংকুচিত করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।