সিঙ্গাপুরের উডল্যান্ডস এলাকার একটি আবাসনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১২ জন অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশের নাগরিক।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল নারকোটিকস ব্যুরো (সিএনবি) বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এই অভিযানটি পরিচালনা করে বলে শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে।
* গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয়: উডল্যান্ডস থেকে গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের বয়স ২৩ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি এবং একজন মিয়ানমারের নাগরি সিএনবি-র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকে মাদক পাচার ও মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চার ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে সিঙ্গাপুরের সিএনবি, হেলথ সায়েন্সেস অথরিটি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি, জনশক্তি মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিচালিত এই অভিযানে দেখা যায়:
* রাত ১২টার আগে কর্মকর্তারা উডল্যান্ডসের ডরমিটরিতে প্রবেশ করেন।
* একটি কক্ষে চারজন অভিবাসী শ্রমিককে হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় মাথা নিচু করে বসে থাকতে দেখা যায়। কর্মকর্তারা তাদের লাগেজ ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র তল্লাশি করেন।
* অন্য একটি কক্ষ থেকে একজন শ্রমিককে হাতকড়া পরা অবস্থায় আনা হয় এবং তার পোশাকের আলমারি তল্লাশি করা হয়।
* অন্য একটি কক্ষ থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে কাঁচের বোতল, কাটা স্ট্র, রাবারের টিউবসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়, যা কর্মকর্তারা প্রমাণ হিসেবে সিল করে রাখেন
সিএনবির ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার সুপারিনটেনডেন্ট জ্যান্থাস টং হিয়েং জি জানান, মাদক সেবন, পাচার এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
> তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই; সিঙ্গাপুরে মাদকের কোনো স্থান নেই, তা সমাজে, কর্মস্থলে কিংবা ডরমিটরিতে হোক না কেন।”
>
সিএনবি প্রকাশিত বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুসারে:
* ২০২৪ সালে মোট ৩ হাজার ১১৯ জন মাদকসেবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের সংখ্যার (৩,১২২ জন) তুলনায় সামান্য কম।
* তবে, নতুন মাদকসেবীর সংখ্যা ২০২৪ সালে ৯৬৬ জন ছিল, যা ২০২৩ সালের (৯৫২ জন) তুলনায় বেশি। তবে এসব মাদকসেবী কোন দেশের নাগরিক, সেই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।