বসতভিটা দখলের চেষ্টা, হামলা, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে চার দিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করছেন ফারজানা ইয়াসমিন তনু ও তার পরিবার। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যশোর সদরের মুরুলী পুকুরকুল আমতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারজানা ইয়াসমিন তনু বলেন, গত ৩০ নভেম্বর তিনি অসুস্থ মাকে দেখতে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যান। বিকেলে তাঁর ৬ বছরের ছেলে রাফসান রাহিম সাইকেল চালাতে বের হলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নাজিমের ছেলে তানভির (১৭) সহ কয়েকজন সাইকেল নেওয়ার কথা বলে শিশুটির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে রাফসানকে মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পূর্ব শত্রুতার সূত্র ধরে প্রতিপক্ষ তাদের পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট
তনু জানান, প্রথম হামলার পর প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করেন। কিন্তু পরে একই পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে এবং পুনরায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন, আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তারা—
* ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার
* নগদ ৫ লাখ টাকা
* অগ্রণী ব্যাংকের একটি চেকবই
লুট করে নিয়ে যায়।
হামলাকারীরা বাধা দিলে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। পরিবারের সদস্যদের মারধর করে ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন ফারজানা ইয়াসমিন তনু।
দীর্ঘদিনের দখল চেষ্টা
ফারজানা ইয়াসমিন তনু অভিযোগ করেন, মুরুলীর প্রধান সড়কের পাশে তাদের চার শতকের বসতভিটা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র জমিটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালেও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোন লিজাকে মারধর করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।
তনু সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনগত সহায়তা ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
১০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম:
বসতভিটা দখল ও হামলার অভিযোগে রাস্তায় ফারজানার পরিবার, বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
-
নিউজ ডেস্ক - আপডেট: ০৯:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৫২৬
সর্বাধিক পঠিত



























