১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় যুবক আটক

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:১৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১০

যশোর সদর উপজেলার ভায়না দোরাস্তা মোড়ে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুম সরদার (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়ার পর মাসুম সরদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে মাসুম সরদারকে আটক করে। মাসুম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার আল আমিন মহল্লার বাচ্চু সরদারের ছেলে।
পরদিন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আটক মাসুমকে ঘটনাস্থল ভায়না দোরাস্তা মোড়ের ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেলে তাকে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার আদালতে হাজির করা হলে তিনি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাতির মামলা দায়ের হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে মাসুম সরদারকে শনাক্ত করা হয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসআই মামুন আরও জানান, আটক মাসুমের কাছ থেকে ডাকাতির লুট হওয়া ২১,৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ডাকাতির ঘটনায় সাত থেকে আটজন জড়িত ছিল, যাদের অধিকাংশই ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। আটক মাসুম সরদারের কাছ থেকে চক্রের অন্য সদস্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় ইতোমধ্যেই একজন আসামি আটক রয়েছে, যাকে শোন অ্যারেস্টের মাধ্যমে যশোরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত ৪ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ডাকাতরা ঘরের পেছনের দরজার তালা ভেঙে প্রবেশ করে। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই ডাকাতি। ডাকাতরা ওয়্যারড্রব থেকে আলমারির চাবি নিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার সোনার অলংকার, নগদ দুই লাখ টাকা, একটি মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ৭০ হাজার টাকার অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সর্বাধিক পঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

যশোরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় যুবক আটক

আপডেট: ০৯:১৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোর সদর উপজেলার ভায়না দোরাস্তা মোড়ে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুম সরদার (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়ার পর মাসুম সরদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে মাসুম সরদারকে আটক করে। মাসুম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার আল আমিন মহল্লার বাচ্চু সরদারের ছেলে।
পরদিন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আটক মাসুমকে ঘটনাস্থল ভায়না দোরাস্তা মোড়ের ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেলে তাকে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার আদালতে হাজির করা হলে তিনি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাতির মামলা দায়ের হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে মাসুম সরদারকে শনাক্ত করা হয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসআই মামুন আরও জানান, আটক মাসুমের কাছ থেকে ডাকাতির লুট হওয়া ২১,৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ডাকাতির ঘটনায় সাত থেকে আটজন জড়িত ছিল, যাদের অধিকাংশই ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। আটক মাসুম সরদারের কাছ থেকে চক্রের অন্য সদস্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় ইতোমধ্যেই একজন আসামি আটক রয়েছে, যাকে শোন অ্যারেস্টের মাধ্যমে যশোরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত ৪ নভেম্বর রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ডাকাতরা ঘরের পেছনের দরজার তালা ভেঙে প্রবেশ করে। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই ডাকাতি। ডাকাতরা ওয়্যারড্রব থেকে আলমারির চাবি নিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার সোনার অলংকার, নগদ দুই লাখ টাকা, একটি মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ৭০ হাজার টাকার অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।