০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫০৬

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ। প্রতি বছরের মতো এবারও ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও শোকের কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকাল ৭টার দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সকাল সোয়া ৭টার কিছু পরে শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সামরিক কায়দায় সালাম জানায়।
স্মৃতিসৌধে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা এবং সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা। উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরাও একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ।”
এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী সংগঠন ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্মৃতির পাতায় ১৪ ডিসেম্বরের নৃশংসতা
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভের মাত্র দু’দিন আগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। ১৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে তারা কেবল ঢাকা শহরেই শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় দেড়শ’ কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়।
সান্ধ্য আইনের মধ্যে তালিকা ধরে ধরে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা এবং রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক দেহ ছিল বুলেটবিদ্ধ, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছিল অনেককে।
এই দিনে জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সাথে সেই বিভীষিকাময় রাতের শহীদদের স্মরণ করছে।

সর্বাধিক পঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

আপডেট: ০৯:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ। প্রতি বছরের মতো এবারও ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও শোকের কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকাল ৭টার দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সকাল সোয়া ৭টার কিছু পরে শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সামরিক কায়দায় সালাম জানায়।
স্মৃতিসৌধে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা এবং সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা। উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরাও একে একে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ।”
এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী সংগঠন ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্মৃতির পাতায় ১৪ ডিসেম্বরের নৃশংসতা
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভের মাত্র দু’দিন আগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। ১৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে তারা কেবল ঢাকা শহরেই শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় দেড়শ’ কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়।
সান্ধ্য আইনের মধ্যে তালিকা ধরে ধরে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা এবং রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক দেহ ছিল বুলেটবিদ্ধ, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছিল অনেককে।
এই দিনে জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সাথে সেই বিভীষিকাময় রাতের শহীদদের স্মরণ করছে।