০৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোরে চোরাই ইজিবাইক নিয়ে দ্বন্দ্বে নারীকে ছুরিকাঘাত

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪

চোরাই ইজিবাইক কেনাবেচা নিয়ে পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হওয়া সেই গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি, আটক জিন্নাত আলী, আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত। তিনি মণ্ডলগাতী গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে।
মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেন রিপন।
মামলার এজাহারে ইজিবাইক চালক হৃদয় হোসেন রিপন উল্লেখ করেছেন, গত ১৯ নভেম্বর সকালে গ্রাম পুলিশ জিন্নাত আলী তাঁর ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে শংকরপুর বাস টার্মিনালের দিকে রওনা হন। পথে জিন্নাত কৌশলে পানির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে হৃদয়কে খাইয়ে দেন। এরপর ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যান জিন্নাত।
পরে স্থানীয়রা হৃদয়কে উদ্ধার করলে, তিনি খোঁজখবর নিয়ে জিন্নাতের সন্ধান পান। একপর্যায়ে জিন্নাত স্বীকার করেন যে তিনি ইজিবাইকটি ৯০ হাজার টাকায় নড়াইলে বিক্রি করে দিয়েছেন এবং টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পুলেরহাট বাজারে জিন্নাতকে দেখতে পেয়ে হৃদয়ের বাবা লিটন হোসেন পাওনা টাকা চাইলে জিন্নাত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জিন্নাত, লিটন হোসেনকে মারধর শুরু করেন। এ সময় হৃদয়ের মা সোনিয়া বাধা দিতে এলে জিন্নাত তাঁর কাছে থাকা চাকু দিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।
ঘটনা দেখে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে জিন্নাতকে ধরে গণপিটুনি দেন। আহত অবস্থায় হৃদয়ের বাবা ও মাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, গণপিটুনির শিকার জিন্নাতকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতে হৃদয় বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে জিন্নাতকে আটক করে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সর্বাধিক পঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

যশোরে চোরাই ইজিবাইক নিয়ে দ্বন্দ্বে নারীকে ছুরিকাঘাত

আপডেট: ০৯:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

চোরাই ইজিবাইক কেনাবেচা নিয়ে পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হওয়া সেই গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি, আটক জিন্নাত আলী, আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত। তিনি মণ্ডলগাতী গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে।
মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেন রিপন।
মামলার এজাহারে ইজিবাইক চালক হৃদয় হোসেন রিপন উল্লেখ করেছেন, গত ১৯ নভেম্বর সকালে গ্রাম পুলিশ জিন্নাত আলী তাঁর ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে শংকরপুর বাস টার্মিনালের দিকে রওনা হন। পথে জিন্নাত কৌশলে পানির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে হৃদয়কে খাইয়ে দেন। এরপর ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যান জিন্নাত।
পরে স্থানীয়রা হৃদয়কে উদ্ধার করলে, তিনি খোঁজখবর নিয়ে জিন্নাতের সন্ধান পান। একপর্যায়ে জিন্নাত স্বীকার করেন যে তিনি ইজিবাইকটি ৯০ হাজার টাকায় নড়াইলে বিক্রি করে দিয়েছেন এবং টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পুলেরহাট বাজারে জিন্নাতকে দেখতে পেয়ে হৃদয়ের বাবা লিটন হোসেন পাওনা টাকা চাইলে জিন্নাত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জিন্নাত, লিটন হোসেনকে মারধর শুরু করেন। এ সময় হৃদয়ের মা সোনিয়া বাধা দিতে এলে জিন্নাত তাঁর কাছে থাকা চাকু দিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।
ঘটনা দেখে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে জিন্নাতকে ধরে গণপিটুনি দেন। আহত অবস্থায় হৃদয়ের বাবা ও মাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, গণপিটুনির শিকার জিন্নাতকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতে হৃদয় বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে জিন্নাতকে আটক করে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।