যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে দুই ভারতীয় নারীর কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকারও বেশি নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫) বিকেলে কাস্টমস কর্মকর্তারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করেন।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুই নারী— বনগাঁ থানার হরিদাসপুর এলাকার রিনা বৈদা (৩৭) (পাসপোর্ট নম্বর জেডএ-১৩৩২৫০) এবং বাগদা থানার কুলিয়া এলাকার মুক্তি শাহাজী (৫৬) (পাসপোর্ট নম্বর জেড-৭২৪৮৪৩৭) ব্যবসায়িক ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত কর্মকর্তারা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে ১৭ লাখের বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করেন।
কাস্টমস কর্মকর্তারা এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বাংলাদেশে আনার উৎস ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই দুই নারী সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ফলে আইন অনুযায়ী, টাকাগুলো ডিটেনশন মেমো (ডিএম) মূলে জব্দ করা হয়। তবে কাস্টমস জানিয়েছে, পরবর্তীতে যদি তারা টাকার বৈধ উৎস ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেন, তবে আইন অনুযায়ী তা ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
‘
কাস্টমসের অভ্যন্তরীণ জিজ্ঞাসাবাদে রিনা বৈদা ও মুক্তি শাহাজী স্বীকার করেন যে, বনগাঁ থেকে এক নারী তাদের এই টাকা বেনাপোলে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন। এই কাজের জন্য তারা প্রতি লাখে ৩০০ টাকা হারে পারিশ্রমিক পাওয়ার চুক্তি করেছিলেন। তারা জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর ওই নারী স্থানীয় ‘ট্যারা চোখের’ পরিচয়ের একটি ছেলের ছবি পাঠাতেন এবং সেই ছেলেটির কাছেই টাকার ব্যাগ হস্তান্তর করার কথা ছিল।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার অতুল গোস্বামী এ বিষয়ে বলেন, “দুইজন ভারতীয় পাসপোর্টধারী নারী যাত্রীর কাছ থেকে ১৭ লাখের অধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যার গণনা কার্যক্রম চলছে। আইন অনুযায়ী কোনো যাত্রী এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ এক দেশ থেকে অন্য দেশে বহন করতে পারেন না। যেহেতু উদ্ধারকৃত টাকার বিষয়ে তারা কোনো বৈধ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় টাকাগুলো ডিএম মূলে জব্দ করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা এভাবে তৃতীয় পক্ষকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দুই দেশের মধ্যে অর্থ পাচার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।




















