০৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোরে প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:১৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪

যশোর সদর উপজেলার ইছালি রামকৃষ্ণপুর গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী নাদিরা আক্তার নদী (১৫)-এর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ও ঘোর জট সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে প্রেমিক নাজমুলের বাড়ির উঠানে একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনা নিয়ে মৃতার পরিবার ও অভিযুক্ত পক্ষের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
নিহত নাদিরা আক্তার নদী ইছালি রামকৃষ্ণপুর গ্রামের প্রবাসী মকতুল মোল্লার মেয়ে এবং ইছালি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটি কোনো সাধারণ আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের অভিযোগ, প্রতিবেশী নাজমুলের সঙ্গে নদীর দীর্ঘ তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং নাজমুল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সম্প্রতি নাজমুল সেই সম্পর্ক অস্বীকার করে নদীকে প্রত্যাখ্যান করে। এরপরই নদী সোমবার রাতে বিয়ের দাবিতে নাজমুলের বাড়িতে যায়। পরিবারের অভিযোগ, সে সময় প্রেমিক নাজমুল এবং তার পরিবারের সদস্যরা নদীকে মারপিট করে হত্যা করে। এরপর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য গামছা ও ওড়না পেঁচিয়ে লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, প্রেমিক নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা শুরু থেকেই দাবি করছেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন এ বিষয়ে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা—সেই রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ইতোমধ্যে নিবিড় তদন্ত শুরু করেছে।

সর্বাধিক পঠিত

যশোরের চাঞ্চল্যকর শহীদ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আলিফ আটক

যশোরে প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ

আপডেট: ০৪:১৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোর সদর উপজেলার ইছালি রামকৃষ্ণপুর গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী নাদিরা আক্তার নদী (১৫)-এর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ও ঘোর জট সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে প্রেমিক নাজমুলের বাড়ির উঠানে একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনা নিয়ে মৃতার পরিবার ও অভিযুক্ত পক্ষের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
নিহত নাদিরা আক্তার নদী ইছালি রামকৃষ্ণপুর গ্রামের প্রবাসী মকতুল মোল্লার মেয়ে এবং ইছালি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটি কোনো সাধারণ আত্মহত্যা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের অভিযোগ, প্রতিবেশী নাজমুলের সঙ্গে নদীর দীর্ঘ তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং নাজমুল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সম্প্রতি নাজমুল সেই সম্পর্ক অস্বীকার করে নদীকে প্রত্যাখ্যান করে। এরপরই নদী সোমবার রাতে বিয়ের দাবিতে নাজমুলের বাড়িতে যায়। পরিবারের অভিযোগ, সে সময় প্রেমিক নাজমুল এবং তার পরিবারের সদস্যরা নদীকে মারপিট করে হত্যা করে। এরপর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য গামছা ও ওড়না পেঁচিয়ে লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, প্রেমিক নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা শুরু থেকেই দাবি করছেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন এ বিষয়ে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা—সেই রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ইতোমধ্যে নিবিড় তদন্ত শুরু করেছে।