যশোরে নয়টি মামলার আসামি কোরবান আলী (৩২) নামে এক যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত আনুমানিক পৌনে নয়টার দিকে শহরের খালধার রোডের আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, কোরবান আলীর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কোরবান আলী শহরতলীর শেখহাটি এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে এবং পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী।
ঘটনা ও পুলিশের বক্তব্য
* গণপিটুনি: স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার হন কোরবান আলী।
* অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার: স্থানীয়দের দাবি ও পুলিশের তথ্যানুসারে, তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
* পুলিশের পদক্ষেপ: কোতোয়ালি থানা পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং অস্ত্র ও গুলিসহ কোরবান আলীকে আটক করে।
* এসআই মোফাজ্জলের তথ্য: কোতোয়ালি থানার এসআই মোফাজ্জল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কোরবানকে উদ্ধার করেন এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
* ওসি’র বক্তব্য: কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত গ্রামের কাগজ-কে জানান, স্থানীয়রা অস্ত্রসহ কোরবানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং পরবর্তীতে জানা যায় তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক মামলাসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে। তদন্ত চলছে।
আহত যুবকের অবস্থা ও কোরবান আলীর দাবি
* আহতের অবস্থা: হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ জানিয়েছেন, কোরবান আলীর দুই পায়ে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে এবং তার বাম পা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
* কোরবান আলীর দাবি: গণপিটুনির শিকার যুবক কোরবান আলী অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি ভাঙারি মালামালের ব্যবসা করেন এবং শেখহাটি হাইস্কুল মোড়ে তার দোকান রয়েছে। পাশের দোকানদার তুহিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। তুহিনের সহযোগী রিয়াদ তাকে ডেকে আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যায়। গেট দিয়ে ঢোকার পরই ৮-১০ জন ব্যক্তি বাসের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। তিনি অস্ত্র-গুলি কোথা থেকে এলো, তা জানেন না।
ঘটনাটি ঘিরে স্থানীয় বিরোধ ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ—দু’টি বিষয়ই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।