০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

অদম্য আরিফা: দারিদ্র্য ও দৃষ্টিহীনতা উপেক্ষা করে ডাক্তারের স্বপ্ন

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১২

যশোরের শার্শা উপজেলার দিঘা গ্রামের আরিফা জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার এক চোখে সম্পূর্ণ দৃষ্টি নেই এবং অন্য চোখে সামান্য আলো-ছায়া দেখতে পান। চরম হতদারিদ্র্যের মাঝেও এই কিশোরী তার মেধা ও দৃঢ় সংকল্প দিয়ে জীবনের পথ তৈরি করছেন। শিক্ষায় অসাধারণ সাফল্য
এসএসসি: এ বছর তিনি পেয়েছেন জিপিএ-৫।
পিএসসি: পূর্বেও তিনি সর্বোচ্চ জিপিএ অর্জন করেছিলেন।
অদম্য স্বপ্ন
আরিফার অদম্য স্বপ্ন হলো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা।
চরম আর্থিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জ
পারিবারিক অবস্থা: পরিবারটি একটি ভাঙাচোরা মাটির ঘরে থাকে, যেখানে পড়াশোনার ন্যূনতম পরিবেশও নেই। ঘরের টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে।
পিতার সংগ্রাম: আরিফার বাবা সোহারাব হোসেন পেশায় ভ্যানচালক। প্রতিদিনের আয় মাত্র দুই-তিনশ টাকা, যা দিয়ে পাঁচজনের সংসার চলে। মেয়ের স্বপ্ন বাঁচাতে তিনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেন।
চিকিৎসা ও ওষুধ: অভাবের কারণে তার চোখের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি এবং মেয়ের প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার টাকার ওষুধ কেনা সম্ভব হয় না।
শিক্ষা খরচ:
তিনি এখন কলারোয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন, যা বাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে।
প্রতিদিন যাতায়াত খরচ প্রায় ১০০ টাকা, যা জোগাড় করতে না পারায় অনেক দিন তিনি ক্লাস করতে যেতে পারেন না।
এইচএসসির বই কেনার টাকা না থাকায় সহপাঠীদের কাছ থেকে ধার করে পড়ছেন।
সহায়তা ও আশ্বাস
এলাকাবাসী আরিফাকে অত্যন্ত ভদ্র ও মেধাবী হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং পরিবারটির জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
শার্শা উপজেলা প্রশাসক কাজী নাজিব হাসান আরিফার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, যাতে তার স্বপ্ন কোনো বাধায় থেমে না যায়।
এই সংবাদটি আরিফার দৃঢ় মনোবল এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার আবেদনকে তুলে ধরে।

সর্বাধিক পঠিত

ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ: ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করলো কেন্দ্রীয় কমিটি

অদম্য আরিফা: দারিদ্র্য ও দৃষ্টিহীনতা উপেক্ষা করে ডাক্তারের স্বপ্ন

আপডেট: ০৭:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

যশোরের শার্শা উপজেলার দিঘা গ্রামের আরিফা জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার এক চোখে সম্পূর্ণ দৃষ্টি নেই এবং অন্য চোখে সামান্য আলো-ছায়া দেখতে পান। চরম হতদারিদ্র্যের মাঝেও এই কিশোরী তার মেধা ও দৃঢ় সংকল্প দিয়ে জীবনের পথ তৈরি করছেন। শিক্ষায় অসাধারণ সাফল্য
এসএসসি: এ বছর তিনি পেয়েছেন জিপিএ-৫।
পিএসসি: পূর্বেও তিনি সর্বোচ্চ জিপিএ অর্জন করেছিলেন।
অদম্য স্বপ্ন
আরিফার অদম্য স্বপ্ন হলো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা।
চরম আর্থিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জ
পারিবারিক অবস্থা: পরিবারটি একটি ভাঙাচোরা মাটির ঘরে থাকে, যেখানে পড়াশোনার ন্যূনতম পরিবেশও নেই। ঘরের টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে।
পিতার সংগ্রাম: আরিফার বাবা সোহারাব হোসেন পেশায় ভ্যানচালক। প্রতিদিনের আয় মাত্র দুই-তিনশ টাকা, যা দিয়ে পাঁচজনের সংসার চলে। মেয়ের স্বপ্ন বাঁচাতে তিনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেন।
চিকিৎসা ও ওষুধ: অভাবের কারণে তার চোখের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি এবং মেয়ের প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার টাকার ওষুধ কেনা সম্ভব হয় না।
শিক্ষা খরচ:
তিনি এখন কলারোয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন, যা বাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে।
প্রতিদিন যাতায়াত খরচ প্রায় ১০০ টাকা, যা জোগাড় করতে না পারায় অনেক দিন তিনি ক্লাস করতে যেতে পারেন না।
এইচএসসির বই কেনার টাকা না থাকায় সহপাঠীদের কাছ থেকে ধার করে পড়ছেন।
সহায়তা ও আশ্বাস
এলাকাবাসী আরিফাকে অত্যন্ত ভদ্র ও মেধাবী হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং পরিবারটির জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
শার্শা উপজেলা প্রশাসক কাজী নাজিব হাসান আরিফার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, যাতে তার স্বপ্ন কোনো বাধায় থেমে না যায়।
এই সংবাদটি আরিফার দৃঢ় মনোবল এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার আবেদনকে তুলে ধরে।