০১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জে ছেলের বটির আঘাতে মায়ের মৃ*ত্যু:

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:৪৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫০৮

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলকিস বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের খান ঠাকুর দিঘীর পাড় এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত বিলকিস বেগম ওই এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ওরফে ওড়ন মিয়ার স্ত্রী।
:
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়ার পর বিলকিস বেগম প্রতিদিনের মতো ঘরের বাইরে উঠানে থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করছিলেন। এসময় তার বড় ছেলে তামিম মিয়া (২৪) বসতঘর থেকে একটি ধারালো বটি নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মায়ের ওপর হামলা চালায়।
তামিম তার মায়ের মাথা, কপাল ও পিঠে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে বিলকিস বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গভীর জখম হওয়ার কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলেও তার আগেই অভিযুক্ত তামিম পালিয়ে যায়।:
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েব খান জানান, অভিযুক্ত তামিম মিয়া দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। উগ্র আচরণের কারণে বাড়িতে তাকে অধিকাংশ সময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তিনি মূলত তার মায়ের তত্ত্বাবধানেই বাড়িতে থাকতেন।:
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। ওসি আরও জানান, অভিযুক্ত তামিম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সর্বাধিক পঠিত

যশোরে মাদকের পৃথক চার অভিযানে গ্রেপ্তার ৪: ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে ছেলের বটির আঘাতে মায়ের মৃ*ত্যু:

আপডেট: ০৮:৪৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলকিস বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের খান ঠাকুর দিঘীর পাড় এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত বিলকিস বেগম ওই এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ওরফে ওড়ন মিয়ার স্ত্রী।
:
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়ার পর বিলকিস বেগম প্রতিদিনের মতো ঘরের বাইরে উঠানে থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করছিলেন। এসময় তার বড় ছেলে তামিম মিয়া (২৪) বসতঘর থেকে একটি ধারালো বটি নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মায়ের ওপর হামলা চালায়।
তামিম তার মায়ের মাথা, কপাল ও পিঠে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে বিলকিস বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গভীর জখম হওয়ার কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলেও তার আগেই অভিযুক্ত তামিম পালিয়ে যায়।:
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েব খান জানান, অভিযুক্ত তামিম মিয়া দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। উগ্র আচরণের কারণে বাড়িতে তাকে অধিকাংশ সময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তিনি মূলত তার মায়ের তত্ত্বাবধানেই বাড়িতে থাকতেন।:
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। ওসি আরও জানান, অভিযুক্ত তামিম মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোকের ছায়া নেমে এসেছে।