০৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

মাকে মারধরের শাস্তি: মাদকাসক্ত ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১২

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাকে মারধর করার অপরাধে এক মাদকাসক্ত যুবককে অভিনব উপায়ে শাস্তি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত যুবককে রাস্তার পাশে গর্ত খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। শনিবার সকালে শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম খলিল (৩০)। সে টেপিরবাড়ি গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে।
স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খলিল একসময় মুদির ব্যবসা করলেও বর্তমানে হতাশাগ্রস্ত হয়ে নেশায় আসক্ত। নেশার কারণে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। নেশার টাকার জন্য খলিল প্রায়ই বাড়িতে উৎপাত করতেন।
শনিবার সকালে খলিল তার মা খোদেজা বেগমের কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। মা টাকা দিতে অস্বীকার করলে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারেন। ছোঁড়া ইটের আঘাতে খোদেজা বেগম আহত হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
মারধরের ঘটনা দেখে স্থানীয়রা প্রথমে খলিলকে বাড়ির পাশে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এ সময় মাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলেও খলিল আরও ক্ষিপ্ত আচরণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা ছাতিরবাজার-টেপিরবাড়ি সড়কের পাশে মাটি খুঁড়ে তাঁকে কোমর পর্যন্ত জীবন্ত পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী খলিলের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ এ বিষয়ে বলেন, “মাকে মারধরের ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্বাধিক পঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

মাকে মারধরের শাস্তি: মাদকাসক্ত ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী

আপডেট: ০৪:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাকে মারধর করার অপরাধে এক মাদকাসক্ত যুবককে অভিনব উপায়ে শাস্তি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত যুবককে রাস্তার পাশে গর্ত খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। শনিবার সকালে শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম খলিল (৩০)। সে টেপিরবাড়ি গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে।
স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খলিল একসময় মুদির ব্যবসা করলেও বর্তমানে হতাশাগ্রস্ত হয়ে নেশায় আসক্ত। নেশার কারণে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। নেশার টাকার জন্য খলিল প্রায়ই বাড়িতে উৎপাত করতেন।
শনিবার সকালে খলিল তার মা খোদেজা বেগমের কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। মা টাকা দিতে অস্বীকার করলে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারেন। ছোঁড়া ইটের আঘাতে খোদেজা বেগম আহত হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
মারধরের ঘটনা দেখে স্থানীয়রা প্রথমে খলিলকে বাড়ির পাশে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এ সময় মাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলেও খলিল আরও ক্ষিপ্ত আচরণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা ছাতিরবাজার-টেপিরবাড়ি সড়কের পাশে মাটি খুঁড়ে তাঁকে কোমর পর্যন্ত জীবন্ত পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী খলিলের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ এ বিষয়ে বলেন, “মাকে মারধরের ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”