০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝিকরগাছায় ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ আটক

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১১

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কথা বলে মৃত, দুস্থ ও অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত আকবার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে নজরুল (৭৮)।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছার কায়েমকোলা এলাকায়।
আটক ও যাচাই-বাছাই
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম নজরুল নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে ঝিকরগাছা এলাকায় বিভিন্ন মৃত ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে গিয়ে ‘যাচাই-বাছাইয়ের’ কথা বলে অর্থ দাবি করছিলেন। তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে।
খবর পেয়ে ঝিকরগাছার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘটনাস্থলে এসে তাকে কায়েমকোলা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দপ্তরে নিয়ে আসেন। ইউএনও কার্যালয়ে সাইফুল ইসলাম নজরুল তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় প্রমাণের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে তাকে ঝিকরগাছা থানা হেফাজতে পাঠানো হয়।
চাঁদাবাজির শিকার কয়েকটি পরিবার
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কথিত মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম নজরুল ‘যাচাই-বাছাইয়ের’ কথা বলে ইতোমধ্যেই কয়েকটি পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে:
* মাগুরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার: ৩ হাজার টাকা।
* দত্তপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মওতুল্লহর মেয়ে জাহানারা খাতুন: ২ হাজার টাকা।
* মরহুম আব্দুল কালেকের পরিবার: ১ হাজার টাকা।
তবে আটকের পর জাহানারা খাতুনের নেওয়া ২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া সাইফুল ইসলাম নজরুল দাবি করেন, ঢাকা থেকে আবুল নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাকে এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজে পাঠিয়েছেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের কাজে মন্ত্রণালয় বা দপ্তর থেকে পাঠানো কোনো চিঠি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রনী খাতুন এবং ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবু সাঈদ নিশ্চিত করেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কথিত মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ওরফে নজরুল থানা হেফাজতে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বাধিক পঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে জাতি

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝিকরগাছায় ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ আটক

আপডেট: ০৮:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কথা বলে মৃত, দুস্থ ও অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত আকবার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে নজরুল (৭৮)।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছার কায়েমকোলা এলাকায়।
আটক ও যাচাই-বাছাই
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম নজরুল নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে ঝিকরগাছা এলাকায় বিভিন্ন মৃত ও দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে গিয়ে ‘যাচাই-বাছাইয়ের’ কথা বলে অর্থ দাবি করছিলেন। তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে।
খবর পেয়ে ঝিকরগাছার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘটনাস্থলে এসে তাকে কায়েমকোলা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দপ্তরে নিয়ে আসেন। ইউএনও কার্যালয়ে সাইফুল ইসলাম নজরুল তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় প্রমাণের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে তাকে ঝিকরগাছা থানা হেফাজতে পাঠানো হয়।
চাঁদাবাজির শিকার কয়েকটি পরিবার
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কথিত মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম নজরুল ‘যাচাই-বাছাইয়ের’ কথা বলে ইতোমধ্যেই কয়েকটি পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে:
* মাগুরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার: ৩ হাজার টাকা।
* দত্তপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মওতুল্লহর মেয়ে জাহানারা খাতুন: ২ হাজার টাকা।
* মরহুম আব্দুল কালেকের পরিবার: ১ হাজার টাকা।
তবে আটকের পর জাহানারা খাতুনের নেওয়া ২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া সাইফুল ইসলাম নজরুল দাবি করেন, ঢাকা থেকে আবুল নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাকে এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজে পাঠিয়েছেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের কাজে মন্ত্রণালয় বা দপ্তর থেকে পাঠানো কোনো চিঠি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রনী খাতুন এবং ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবু সাঈদ নিশ্চিত করেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কথিত মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ওরফে নজরুল থানা হেফাজতে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।