০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোরে ছাত্র-জনতার বিশাল বিক্ষোভ: ‘হাদি হত্যার বিচার ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের’ বিরুদ্ধে স্লোগান

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৫:২২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫০৯

রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির প্রয়াণে ক্ষোভে ফুঁসছে যশোরের ছাত্র-জনতা। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শহরের মুজিব সড়কস্থ মডেল মসজিদের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভের পথ ও স্লোগান:
মিছিলটি মুজিব সড়ক হয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্বর ও শহীদ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রাজপথ প্রকম্পিত হয় হাজারো কণ্ঠে। শিক্ষার্থীরা ‘আমরা সবাই হাদি হবো’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা ঢাকা’, ‘হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে?’ এবং ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ সহ ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী নানা স্লোগান দেন।:
শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এনসিপির যশোর জেলা প্রধান সমন্বয়ক নুরুজ্জামান বলেন, “হাদীর মতো একজন দেশপ্রেমিককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা জঘন্য ও নেক্কারজনক অপরাধ। তিনি ছিলেন দেশের এক অমূল্য সম্পদ।” বক্তারা অবিলম্বে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হাদি হত্যার বিচার না হলে দেশের কোনো সচেতন রাজনীতিবিদই ভবিষ্যতে নিরাপদ থাকবেন না। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেশ পুনর্গঠনের পথে বাধা সৃষ্টিকারী কোনো শক্তিকে এ দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।:
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) সাকিব শাহরিয়ার, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য নিজামুদ্দিন অমিতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মসূচি শেষে শহীদ শরীফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রেক্ষাপট:
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা শরীফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সর্বাধিক পঠিত

চৌগাছা সীমান্তে হাওর থেকে যুবকের ম*র*দেহ উদ্ধার:

যশোরে ছাত্র-জনতার বিশাল বিক্ষোভ: ‘হাদি হত্যার বিচার ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের’ বিরুদ্ধে স্লোগান

আপডেট: ০৫:২২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির প্রয়াণে ক্ষোভে ফুঁসছে যশোরের ছাত্র-জনতা। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শহরের মুজিব সড়কস্থ মডেল মসজিদের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভের পথ ও স্লোগান:
মিছিলটি মুজিব সড়ক হয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্বর ও শহীদ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রাজপথ প্রকম্পিত হয় হাজারো কণ্ঠে। শিক্ষার্থীরা ‘আমরা সবাই হাদি হবো’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা ঢাকা’, ‘হাদি ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে?’ এবং ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ সহ ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী নানা স্লোগান দেন।:
শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এনসিপির যশোর জেলা প্রধান সমন্বয়ক নুরুজ্জামান বলেন, “হাদীর মতো একজন দেশপ্রেমিককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা জঘন্য ও নেক্কারজনক অপরাধ। তিনি ছিলেন দেশের এক অমূল্য সম্পদ।” বক্তারা অবিলম্বে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হাদি হত্যার বিচার না হলে দেশের কোনো সচেতন রাজনীতিবিদই ভবিষ্যতে নিরাপদ থাকবেন না। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেশ পুনর্গঠনের পথে বাধা সৃষ্টিকারী কোনো শক্তিকে এ দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।:
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) সাকিব শাহরিয়ার, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য নিজামুদ্দিন অমিতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মসূচি শেষে শহীদ শরীফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রেক্ষাপট:
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা শরীফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।