শারদীয় দুর্গাপূজা ঘনিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনে। শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় মেতে আছে প্রতিমা কারিগররা। মাটি ও কাঠের কাজ শেষ হওয়ায় এখন শুধু রং করার কাজ বাকি। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব।
পীরগাছা উপজেলায় এ বছর মোট ৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় কারিগর সংকট এবং খড়, কাঠ ও শ্রমের মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রতিমার দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে একটি প্রতিমা সেট পাওয়া যেত ১০-১৫ হাজার টাকায়, এবার তা ৩০-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরাজি ঝিনিয়া গ্রামের তিন ভাই—সুনীল, পুলিন ও সুশীল চন্দ্র—প্রতিমা তৈরির ব্যবসায় দীর্ঘদিন যুক্ত। বর্তমানে তাদের পরিবারও প্রতিমা তৈরিতে সহযোগিতা করছে। তারা নিজ বাড়িতেই প্রায় ৫০টি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। রোদে শুকানো হচ্ছে প্রতিমা, কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ খড় দিয়ে হাত-পা তৈরি করছেন, আবার কেউ বা রং করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
সুনীল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রতিমা তৈরিতে দিন দিন খরচ বাড়ছে, তবে মন্দিরের সংখ্যা কমায় চাহিদাও কমেছে। একটি সেট প্রতিমা তৈরিতে সাধারণত ১০-১৫ দিন সময় লাগে। প্রতিমার সঙ্গে থাকছে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মীর মূর্তি।
স্থানীয় ডাকুয়ার দিঘি দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সুধীর চন্দ্র বর্মণ বলেন, “গত বছর প্রতিমার দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা, এবার কিনতে হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা।”
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পীরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি তরুণ কুমার রায় জানান, “প্রতিবছরের মতো এবারও উপজেলার ৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে এবং উৎসব ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে।”













