০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
যশোরে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ: আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ

যশোরে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ: আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৭

যশোরে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। মূল কমিটির নেতারা দাবি করছেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কিয়ামউদ্দিনের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণেই এই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঙ্গে দেখা করে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। জবাবে বিএনপি নেতারা সবাইকে বিবাদ এড়িয়ে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।
কীভাবে শুরু হলো এই বিভেদ?
গত বছর, অর্থাৎ ৫ আগস্টের পর, যশোর সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে দেখা করে একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন। সে অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কিয়ামউদ্দিনের উদ্যোগে গত ২২ জুন শিক্ষক সমিতি ভবনে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে ভেকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান কবীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কমিটি গঠনের পর কিয়ামউদ্দিন নিজেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক নার্গিস বেগমের ‘আস্থাভাজন’ পরিচয় দিয়ে নতুন কমিটির উপর প্রভাব খাটাতে শুরু করেন। তার ইচ্ছামতো কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। তার অন্যায় আবদার পূরণ না হওয়ায় তিনি নিজেই গঠিত কমিটি থেকে সরে এসে পাল্টা আরেকটি কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এই কাজে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ-পদবিতে থাকা শিক্ষকদের সহযোগিতা নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজশ?
কয়েকজন বিএনপিপন্থী শিক্ষক জানান, গত ১৫ বছর ধরে যারা তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা ভোগ করেছেন, কিয়ামউদ্দিন তাদেরই আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এই কারণে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা বলছেন, কিয়ামউদ্দিন দুই বছর আগে অবসর নিলেও তিনি অধ্যাপক নার্গিস বেগমের ‘আস্থাভাজন’ পরিচয়ে তার ইচ্ছামতো সবকিছু করছেন, যা বিএনপির জন্য ক্ষতিকর।
শিক্ষকদের মতে, একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর খবরদারি করার কোনো অধিকার নেই। যদি তার রাজনীতি করার আগ্রহ থাকে, তবে সরাসরি বিএনপির রাজনীতি করা উচিত। কিন্তু তিনি তা না করে ‘ফ্যাসিস্টদের’ সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তার নানা কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা কিয়ামউদ্দিনের সঙ্গে চলতে পারছি না। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আমরা বিএনপি নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।”

সর্বাধিক পঠিত

যশোরে ক্ষতিকর খাদ্যপণ্য বিক্রির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

যশোরে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ: আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ

যশোরে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ: আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ

আপডেট: ০৪:০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোরে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। মূল কমিটির নেতারা দাবি করছেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কিয়ামউদ্দিনের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণেই এই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঙ্গে দেখা করে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। জবাবে বিএনপি নেতারা সবাইকে বিবাদ এড়িয়ে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।
কীভাবে শুরু হলো এই বিভেদ?
গত বছর, অর্থাৎ ৫ আগস্টের পর, যশোর সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে দেখা করে একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন। সে অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কিয়ামউদ্দিনের উদ্যোগে গত ২২ জুন শিক্ষক সমিতি ভবনে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে ভেকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান কবীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কমিটি গঠনের পর কিয়ামউদ্দিন নিজেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক নার্গিস বেগমের ‘আস্থাভাজন’ পরিচয় দিয়ে নতুন কমিটির উপর প্রভাব খাটাতে শুরু করেন। তার ইচ্ছামতো কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। তার অন্যায় আবদার পূরণ না হওয়ায় তিনি নিজেই গঠিত কমিটি থেকে সরে এসে পাল্টা আরেকটি কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এই কাজে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ-পদবিতে থাকা শিক্ষকদের সহযোগিতা নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজশ?
কয়েকজন বিএনপিপন্থী শিক্ষক জানান, গত ১৫ বছর ধরে যারা তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা ভোগ করেছেন, কিয়ামউদ্দিন তাদেরই আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এই কারণে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তারা বলছেন, কিয়ামউদ্দিন দুই বছর আগে অবসর নিলেও তিনি অধ্যাপক নার্গিস বেগমের ‘আস্থাভাজন’ পরিচয়ে তার ইচ্ছামতো সবকিছু করছেন, যা বিএনপির জন্য ক্ষতিকর।
শিক্ষকদের মতে, একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর খবরদারি করার কোনো অধিকার নেই। যদি তার রাজনীতি করার আগ্রহ থাকে, তবে সরাসরি বিএনপির রাজনীতি করা উচিত। কিন্তু তিনি তা না করে ‘ফ্যাসিস্টদের’ সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তার নানা কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা কিয়ামউদ্দিনের সঙ্গে চলতে পারছি না। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আমরা বিএনপি নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।”