আজ শনিবার, ১২ রবিউল আউয়াল। এ দিনই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র দিবস। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবের মরুভূমিতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন মানবজাতির মুক্তির দিশারী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। একই দিনে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।
এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ রাজনৈতিক নেতারা পৃথক বাণীতে মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। তারা সবাই মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন— সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। তিনি মানুষকে কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার ও অন্ধকার থেকে মুক্ত করে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের পথে আহ্বান জানিয়েছেন।”
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচি ও আয়োজন
- বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পক্ষকালব্যাপী ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল।
- দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা ও ইসলামী স্কলারদের বয়ান ও সেমিনার।
- মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী বইমেলা, যেখানে মিসর, তুরস্ক, পাকিস্তান ও লেবাননের প্রকাশকরা অংশ নিচ্ছেন।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিরাত, হামদ-নাত, কবিতা, রচনা ও খুতবা প্রতিযোগিতা।
- দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল।
ইসলামী ইতিহাসে উল্লেখ আছে, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত আরব সমাজকে মুক্তি দিতে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রেরণ করেন। তাঁর আনীত শিক্ষা ও জীবনাদর্শ বিশ্ব মানবতার জন্য চিরন্তন দিশারী হয়ে আছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় আজ গভীর ধর্মীয় শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি পালন করছে











