সরকার পতনের প্রায় এক বছর স্থবির থাকার পর যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সোনা পাচার চক্র আবার সক্রিয় হয়েছে। সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে চোরাচালানীরা স্বর্ণ পাচার শুরু করেছে। বিগত এক মাসে বেশ কয়েকটি বড় চালান বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হয়েছে।
এক সপ্তাহে যশোর শহরতলীর বিভিন্ন অভিযান থেকে ৪৯ বিজিবি যশোর ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করেছে। এর আগে আরও ৩৬টি বার জব্দ হয়েছিল, যার মূল্য ১১ কোটি টাকার বেশি। চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মহেশপুর ও বেনাপোল থেকে বিজিবি আরও ৬৭টি বার জব্দ করেছে, যার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।
আটকরা মূলত ডেলিভারি ম্যান এবং বহনের সঙ্গে যুক্ত; কিন্তু সিন্ডিকেটের বড়পরিচালকরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। একাধিক সূত্র জানায়, আটককৃত স্বর্ণের পরিমাণের চেয়ে আরও অনেক বড় মাপের স্বর্ণ পাচার হয়েছে ভারতে।
পাল্লা দিয়ে কিছু উদাহরণ:
- ১৯ আগস্ট: খুলনা-যশোর মহাসড়কে আফছার আলী আটক; ৬৬৩ গ্রাম ওজনের ৫টি সোনার বার জব্দ।
- ২১ আগস্ট: রুবেল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫টি সোনার বার উদ্ধার।
- ২৮ আগস্ট: কোদালিয়া ও তারাগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ৩৬টি স্বর্ণ বার উদ্ধার; মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা।
- ২৬ জুলাই: মহেশপুর সীমান্তে ৩১টি বার উদ্ধার; মোট ওজন ৪ কেজি ২০৩ গ্রাম, মূল্য প্রায় ৫.৮৩ কোটি টাকা।
সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা—যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া—ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি হওয়ায় এই চোরাচালান তুলনামূলকভাবে বেশি সক্রিয়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, স্বর্ণসহ চোরাচালানী মালামাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে বিজিবি জব্দ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মেহেদী











