০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

শার্শার উলাশী ইউনিয়নে সরকারি চাল ছিনিয়ে অভিযোগে জরুরি কর্মী সভা উলাসি ইউনিয়ন বিএনপির।

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিতরণকৃত সরকারি চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জরুরি কর্মী সভার আয়োজন করেছে উলাশী ইউনিয়ন বিএনপি।

শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের ধলদা বাজারস্থ বিএনপির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুর রহমান নেদার সভাপতিত্বে এবং উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজনকে উপস্থিত করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একইসাথে তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা—তা যাচাই করা হয় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার নাম জড়িয়ে কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। নেতারা অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে নেদার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

রুহুল আমিন বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এ ধরনের সংবেদনশীল অভিযোগ আসা মাত্রই আমরা দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উলাশী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘ভিডব্লিউভি’ তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নারী সদস্যকে ৩ বস্তা করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে অনেকে চাল ভ্যানে করে বাড়ি নেওয়ার সময় ধলদা মোড়ে চারজন যুবক—ইয়ানুর (নজরুল ইসলামের ছেলে), মিজানুর বিশ্বাস (রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে), মশিয়ার (সুরত আলীর ছেলে), এবং রফিকুল (আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে)—ভ্যান থামিয়ে চাল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার সংবাদ ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্তরা বিএনপির সহ-সভাপতি নেদার অনুসারী বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে আমিনুর রহমান নেদা বলেন, “চাল যদি কেউ পরিষদ থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে ছিনিয়ে নেয়, সেটা ছিনতাইয়ের পর্যায়ে পড়ে। আমি শার্শা থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়েছি—তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।”

সর্বাধিক পঠিত

বেনাপোলে যুবদল বনাম ছাত্রদলের প্রীতি ফুটবল ম্যাচে যুবদলের জয়

শার্শার উলাশী ইউনিয়নে সরকারি চাল ছিনিয়ে অভিযোগে জরুরি কর্মী সভা উলাসি ইউনিয়ন বিএনপির।

আপডেট: ০৮:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিতরণকৃত সরকারি চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জরুরি কর্মী সভার আয়োজন করেছে উলাশী ইউনিয়ন বিএনপি।

শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের ধলদা বাজারস্থ বিএনপির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুর রহমান নেদার সভাপতিত্বে এবং উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজনকে উপস্থিত করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একইসাথে তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা—তা যাচাই করা হয় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদার নাম জড়িয়ে কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। নেতারা অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে নেদার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

রুহুল আমিন বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এ ধরনের সংবেদনশীল অভিযোগ আসা মাত্রই আমরা দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উলাশী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘ভিডব্লিউভি’ তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নারী সদস্যকে ৩ বস্তা করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে অনেকে চাল ভ্যানে করে বাড়ি নেওয়ার সময় ধলদা মোড়ে চারজন যুবক—ইয়ানুর (নজরুল ইসলামের ছেলে), মিজানুর বিশ্বাস (রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে), মশিয়ার (সুরত আলীর ছেলে), এবং রফিকুল (আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে)—ভ্যান থামিয়ে চাল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার সংবাদ ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্তরা বিএনপির সহ-সভাপতি নেদার অনুসারী বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে আমিনুর রহমান নেদা বলেন, “চাল যদি কেউ পরিষদ থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে ছিনিয়ে নেয়, সেটা ছিনতাইয়ের পর্যায়ে পড়ে। আমি শার্শা থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়েছি—তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।”