বেনাপোলে বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে সোর্স মাসুদের রমরমা টেবিল বাণিজ্য
বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল সীমান্তে চোরাচালানী পণ্য বহনে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের মূল হোতা মাসুদের অবৈধ্য কর্মকান্ডে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারালেও নীরব ভূমিকায় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ ও শুল্কযুক্ত অতিরিক্ত পণ্য বিজিবির টেবিল পারাপারের অভিযোগ মিলেছে। স্থলবন্দর ও বিজিবির সিসি ক্যামের ভিডিও চেক করলে সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। বেনাপোল পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ড সাদীপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ এতটাই বেপরোয়া যে, একজন বহিরাগত হয়েও দাপিয়ে বেড়ায় ইমিগ্রেশন ও আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চত্তর। কে পি আই ভুক্ত এলাকা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানে মাসুদ কিভাবে অবাধ যাতায়াত করে তা অনেকেরই অজানা। তবে কি প্রশাসনের ইন্ধনে চলছে মাসুদের টেবিল ল্যাগেস ব্যবসা এমন প্রশ্ন জনমনে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,বিজিবি ও কাস্টমসের একাধিক অসাধু কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা করে চোরাচালানী ও শুল্ক ফাঁকির পণ্য পারাপার কাজে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে মাসুদ গং। এছাড়ও সাদীপুর সীমান্ত সংলগ্ন বিভিন্ন পকেট ঘাট দিয়ে চোরাই পথে ভারতীয় বিভিন্ন রকমের পণ্য,মাদকদ্রব্য,অস্ত্র পারাপার কাজেও মাসুদ জড়িত বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
ভারত হতে পাসপোর্ট যাত্রীর সাথে ল্যাগেজ সুবিধায় আনা অতিরিক্ত পণ্য বিজিবির টেবিল পার করে দিতে যাত্রীর সহিত পণ্য ভেদে মাসুদ গংদের চুক্তি হয় ব্যাগ প্রতি ২ হতে ৩ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ২৩ মে রোজ শুক্রবার যশোর থেকে প্রকাশিত প্রতিদিনের কথায় “বেনাপোলে ল্যাগেজ পাচারে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি!বিজিবির আসাদের সহযোগীতায় বেপরোয়া সোর্স মাসুদ গং শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের সত্যতা যাচায়ে সরেজমিনে গেলে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন চত্তর হতে মাসুদকে পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ হাতে নিয়ে বের হতে দেখা যায়। এ বিষয়ে মাসুদকে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ভারত হতে তার আতœীয় বেড়াতে আসায় তার ব্যাগ বহণ করছেন তিনি। সারাদিন আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে কি কাজ জিজ্ঞাসা করলে সে ফোন কেটে দেই।
মাসুদ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলে স্থানীয়রা জানান,মাসুদ আগে চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্প এ বিজিবি সদস্যদের জন্য পানি ও খাবার সরবারহ করত সে সূত্র ধরে কয়েক বছরের ব্যবধানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বণে অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে বিজিবির চেকিং টেবিল কার্যক্রমে মাসুদের সিগনাল ও চোখের ইশারায় পাসপোর্ট যাত্রীর ল্যাগেজ ছেড়ে দেওয়া হয় বলে আরো জানা যায়।
ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী পোশেন জানায়, পণ্য নিয়ে যাতাযাতের মূল সমস্যা হলো বিজিবি টেবিল অবৈধ পণ্য চেকিংয়ের নামে মালামাল ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেজন্য মাসুদ ও সাইদ নামে দুজন বিজিবির কাজ করে থাকে তাদের দিয়ে ব্যাগ প্রতি ২ হাজার টাকায় পার হই। কোন কারনে ব্যাগ ক্যাম্পে গেলেও তারা ছাড়িয়ে দেই।
চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানে বহিরাগত প্রবেশের সুযোগ আছে কি? জানতে মুঠোফোনে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ শামিম হোসেন জানান,অনুমতি ব্যাতীত কে পি আই ভুক্ত এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। বেনাপোল ইমিগ্রেশানে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ সবসময় তৎপর। এরপরও অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।