০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার লাকসামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত

কুমিল্লার লাকসামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩০

কুমিল্লার লাকসামে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভে থাকা সন্তানও মারা গেছে।

মোহাম্মদপুর গ্রামের মাজেদা খাতুন (৬০) রাত সোয়া ৮টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় নাওটি গ্রামের অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়াও (২০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। আর পা বিচ্ছিন্ন হওয়া অন্তঃসত্ত্বা মিনা আক্তারের (২৫) গর্ভের সন্তানও প্রাণ হারিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনায় মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা, যারা আজগরা ইউনিয়নের নাওটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুমিল্লা থেকে নাঙ্গলকোট যাচ্ছিলো একটি সুপার যাত্রীবাহী বাস দামবাহার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কটি সরু ও ব্যস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এই রকম প্রায়শই ঘটে। স্থানীয়রা সড়ক উন্নয়ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানান।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

সর্বাধিক পঠিত

প্রেমিকের মৃতদেহকেই বিয়ে করে খুনিদের ফাঁসি চাইলেন প্রেমিকা

কুমিল্লার লাকসামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত

কুমিল্লার লাকসামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত

আপডেট: ১১:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুমিল্লার লাকসামে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভে থাকা সন্তানও মারা গেছে।

মোহাম্মদপুর গ্রামের মাজেদা খাতুন (৬০) রাত সোয়া ৮টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় নাওটি গ্রামের অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়াও (২০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। আর পা বিচ্ছিন্ন হওয়া অন্তঃসত্ত্বা মিনা আক্তারের (২৫) গর্ভের সন্তানও প্রাণ হারিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনায় মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা, যারা আজগরা ইউনিয়নের নাওটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুমিল্লা থেকে নাঙ্গলকোট যাচ্ছিলো একটি সুপার যাত্রীবাহী বাস দামবাহার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কটি সরু ও ব্যস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এই রকম প্রায়শই ঘটে। স্থানীয়রা সড়ক উন্নয়ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানান।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”