যশোরে ১১ দফা দাবির পক্ষে বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফোরাম, যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম এবং দুপুর ২টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোছাম্মৎ আসমা বেগমের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব ও উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন ফোরামের যশোর জেলা শাখার জয়েন্ট কনভেনার মো. মারুফুর রহমান শেখ। এ সময় বক্তব্য রাখেন যশোর সরকারি সিটি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান ফারুক, মাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান, ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দীন।
এছাড়া সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা এবং যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন থেকে ফোরামের নেতৃবৃন্দ তাদের ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও উচ্চশিক্ষার সর্বত্র ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
২. ব্র্যাক পাইলট কোর্সসহ ব্র্যাকপন্থী শিক্ষা কার্যক্রমে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা সংযোজন করে ১০০ নম্বরের বাধ্যতামূলক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. সকল স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় ও বিভাগ চালু করা।
৪. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
৫. প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, সামরিক, পুলিশ ও অন্যান্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইসলামিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।
৬. মসজিদভিত্তিক মক্তবে আরবি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
৭. মাদকাসক্তি, সন্ত্রাসবাদ ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে ইসলামিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।
বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফোরাম যশোর জেলা শাখা জানিয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তাদের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।















