যশোরের রাজারহাটে সিআইডি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সহযোগী আসামি শাওন সর্দারকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওসির নেতৃত্বে একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, শাওনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, হামলার সময় সিআইডির এক সদস্যকে রশি দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চিহ্নিত মাদককারবারি তুষারকে আটক করে সিআইডি। তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তুষারের সহযোগীরা সিআইডি সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বুধবার সংঘটিত এই ঘটনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসার পর শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ প্রশ্ন তুলছেন—সিআইডি কেন পোশাক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়া অভিযানে গেল? আবার কেউ বলছেন, তুষার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রলীগে কোনো পদে না থাকলেও তিনি নিজেকে নেতা পরিচয় দিতেন। এক জনপ্রতিনিধির ছত্রচ্ছায়ায় তিনি দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পরও তার দাপট বজায় ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তুষারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল এবং দুটি মামলা রয়েছে। সেই সূত্রেই তাকে ধরতে সিআইডি অভিযান চালায়। এ সময় তুষার প্রকাশ্যে মব তৈরি করে। তার সহযোগী ও সাধারণ মানুষও তাতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সিআইডি সদস্যরা আক্রান্ত হন।
ওসি আবুল হাসনাত বলেন, “তুষারের সহযোগী ও মব সৃষ্টিকারী শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে ঘটনার সময় ব্যবহৃত পোশাকও উদ্ধার করা হয়েছে। মূল আসামি তুষারসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
যশোর সিআইডির পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) সিদ্দিকা বেগম বলেন, “ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির বিশেষ টিমও মাঠে রয়েছে।”











