বেনাপোল (যশোর)
সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫) বেনাপোল পৌর বিএনপি এক বিশাল কর্মী সমাবেশ ও গণজমায়েতের আয়োজন করে। বেনাপোল বলফিল্ডে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
উপস্থিত জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করে— বেনাপোল বলফিল্ডে যেন সত্যিই নেমেছিল ‘জনগণের সাগর’। পুরো মাঠ জুড়ে কেবল মানুষের মাথা আর স্লোগানের আওয়াজ। এই সমাবেশ দলীয় কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের মাঝে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশের মূল আকর্ষণ ছিল সাধারণ মানুষের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষা। বক্তাদের প্রতিটি কথায় জনতা স্লোগান ও করতালির মাধ্যমে সায় দিচ্ছিল। নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড, যেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকারের পদত্যাগের দাবি ফুটিয়ে তোলা হয়।

পৌর বিএনপির নেতারা বলেন, আজকের এই জনসমাবেশ প্রমাণ করে যে, দেশের মানুষ আর বর্তমান পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। এই মাঠ থেকে যে ‘মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস আর পরিবর্তনের প্রত্যয়ের ঢেউ’ উঠেছে, তা গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ। বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন:
* গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার: বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। আজকের এই সাগর প্রমাণ করে, জনগণ তাদের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করতে প্রস্তুত।”


* আন্দোলনের প্রস্তুতি: সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
* অর্থনৈতিক দুরবস্থা: দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সীমাহীন দুর্নীতির কথা তুলে ধরে নেতারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।
বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি জনাব [সভাপতি/আহ্বায়কের নাম] তার বক্তব্যে বলেন, “বেনাপোল সীমান্ত এলাকা— এখানে পরিবর্তনের ঢেউ উঠলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আজকের এই সমাবেশ আমাদের সেই পরিবর্তনের সূচনা।”
সকাল থেকেই বেনাপোলের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে বলফিল্ডে প্রবেশ করে। দুপুরের আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অনেক সাধারণ মানুষ মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের সড়কেও দাঁড়িয়ে সমাবেশ শোনেন।
দলীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিপুল উপস্থিতি দেখিয়ে দিলো যে বেনাপোল পৌর এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত অত্যন্ত মজবুত। আগামী দিনে আন্দোলন বেগবান করতে এই জনসমাবেশ কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।











