যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সাগর মাহমুদ রিয়াজ জলাশয় লিজ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতারণা, চুরি, মারধর এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরও তিনি ফের হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
: সাগর মাহমুদ ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর এলাকার ফসিয়ার রহমান দফাদারের কাছ থেকে ২৩ বিঘা জলাশয় লিজ নেন।
: চুক্তি অনুযায়ী ২৩ বিঘা (৭৩২ শতক)-এর পরিবর্তে তাঁকে মাত্র ১৮ বিঘা (৫৯৭ শতক) জলাশয় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনি অতিরিক্ত জলাকার বাবদ মোট ৩ লাখ ৭১ হাজার ২২০ টাকা পরিশোধ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
চুক্তির অতিরিক্ত টাকার জন্য বারবার দাবি জানালেও ফসিয়ার দফাদার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে ও আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিলেও ফসিয়ার দফাদার ও তাঁর সহযোগী মহিবুল ইসলাম এবং ইকবাল হোসেন নানা সময়ে সাগর মাহমুদকে হুমকি দিয়ে আসছেন।:
* গত ১ নভেম্বর দুপুর ১:৩৮ মিনিটে মহিবুল ইসলামের ব্যবহৃত নম্বর থেকে সাগর মাহমুদকে ফোন করে জলাশয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।২ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে ফসিয়ার দফাদার পুকুরপাড়ে গিয়ে তাঁর ম্যানেজার আমিরুল ইসলামকেও একই ধরনের হুমকি প্রদান করেন।
* এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাগর মাহমুদ ২ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি (জিডি নং-১৫২) করেন।
* জিডি করার পর অভিযুক্তরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
গত ২৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে সাগর মাহমুদ মৎস্য খামারে গেলে ফসিয়ার দফাদার ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হেলমেট দিয়ে মাথা, ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। হামলার পর তাঁকে পুকুর এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পুনরায় সেখানে গেলে ‘জীবন শেষ করে দেওয়ার’ হুমকি দেওয়া হয়।











