০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

যশোর-নাটোরের মিন্টু দম্পতির বিরুদ্ধে ভিসা প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগ

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৬:৩৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৬

যশোরের রেলগেট চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার মিজানুর রহমান মিন্টু ও তাঁর স্ত্রী কুমারি বৃষ্টি রানী ওরফে বৃষ্টি বেগম ওরফে মারিয়া নূর বৃষ্টি-র বিরুদ্ধে কানাডাসহ বড় বড় দেশে পাঠানোর নামে ভিসা প্রতারণা এবং হয়রানির অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। নাটোরে আস্তানা গেড়ে তাঁরা বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
* বিশাল বেতনে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন: এই দম্পতি কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শ’ শ’ যুবকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
* আগেও প্রতারণা: এর আগে পর্তুগাল পাঠানোর নামে ৪০ জনের কাছ থেকে তাঁরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এ পরবর্তী অন্তত ৪৪টি পরিবার তাঁদের প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
* মিথ্যা মামলা ও হয়রানি: টাকা আত্মসাতের পর উল্টো ভুক্তভোগী ও পাওনাদারদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের এবং মনগড়া কাগজপত্র তৈরি করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ।
* নতুন আস্তানা: অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিন্টু যশোর শহরের চাঁচড়া চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার আবুল কালামের ছেলে। টাকা হাতিয়ে তাঁরা যশোরের কার্যালয় গুটিয়ে নাটোরে নতুন আস্তানা গেড়েছেন এবং সেখান থেকেই নয়া প্রতারণায় লিপ্ত আছেন।
* স্ত্রীর তৎপরতা: ক’দিন আগে এই দম্পতি আটক হলেও স্ত্রী বৃষ্টি জামিন পেয়ে নিজের ও স্বামীর প্রতারণা বলয় ব্যবহার করে সহজ-সরল বিদেশ গমনেচ্ছুকদের হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন।

* এই প্রতারক দম্পতি ও তাঁদের সহযোগীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

* প্রতারণার শিকারদের তথ্যানুযায়ী, মিজানুর রহমান মিন্টু ও বৃষ্টি খাতুন দম্পতির বিরুদ্ধে যশোর ও নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ এবং মামলা হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার নাঈমুল হক নাবিল (২৩) উন্নত জীবনের আশায় কানাডায় যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য তিনি জমি বিক্রি ও ঋণ নিয়ে মোট ১৫ লাখ টাকা মিন্টুর হাতে তুলে দেন। নাবিলের ভগ্নিপতি শেখ হাসানুর রহমান গত ২৭ সেপ্টেম্বর যশোরের কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংহা গ্রামের বাবলুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই প্রতারক দম্পতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তবে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বা আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সর্বাধিক পঠিত

বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

যশোর-নাটোরের মিন্টু দম্পতির বিরুদ্ধে ভিসা প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগ

আপডেট: ০৬:৩৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

যশোরের রেলগেট চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার মিজানুর রহমান মিন্টু ও তাঁর স্ত্রী কুমারি বৃষ্টি রানী ওরফে বৃষ্টি বেগম ওরফে মারিয়া নূর বৃষ্টি-র বিরুদ্ধে কানাডাসহ বড় বড় দেশে পাঠানোর নামে ভিসা প্রতারণা এবং হয়রানির অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। নাটোরে আস্তানা গেড়ে তাঁরা বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
* বিশাল বেতনে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন: এই দম্পতি কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শ’ শ’ যুবকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
* আগেও প্রতারণা: এর আগে পর্তুগাল পাঠানোর নামে ৪০ জনের কাছ থেকে তাঁরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এ পরবর্তী অন্তত ৪৪টি পরিবার তাঁদের প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
* মিথ্যা মামলা ও হয়রানি: টাকা আত্মসাতের পর উল্টো ভুক্তভোগী ও পাওনাদারদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের এবং মনগড়া কাগজপত্র তৈরি করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ।
* নতুন আস্তানা: অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিন্টু যশোর শহরের চাঁচড়া চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার আবুল কালামের ছেলে। টাকা হাতিয়ে তাঁরা যশোরের কার্যালয় গুটিয়ে নাটোরে নতুন আস্তানা গেড়েছেন এবং সেখান থেকেই নয়া প্রতারণায় লিপ্ত আছেন।
* স্ত্রীর তৎপরতা: ক’দিন আগে এই দম্পতি আটক হলেও স্ত্রী বৃষ্টি জামিন পেয়ে নিজের ও স্বামীর প্রতারণা বলয় ব্যবহার করে সহজ-সরল বিদেশ গমনেচ্ছুকদের হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন।

* এই প্রতারক দম্পতি ও তাঁদের সহযোগীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

* প্রতারণার শিকারদের তথ্যানুযায়ী, মিজানুর রহমান মিন্টু ও বৃষ্টি খাতুন দম্পতির বিরুদ্ধে যশোর ও নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ এবং মামলা হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার নাঈমুল হক নাবিল (২৩) উন্নত জীবনের আশায় কানাডায় যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য তিনি জমি বিক্রি ও ঋণ নিয়ে মোট ১৫ লাখ টাকা মিন্টুর হাতে তুলে দেন। নাবিলের ভগ্নিপতি শেখ হাসানুর রহমান গত ২৭ সেপ্টেম্বর যশোরের কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংহা গ্রামের বাবলুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই প্রতারক দম্পতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তবে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বা আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।