০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

কাঁপল সিলেট-টেকনাফ; রাজউক সমীক্ষায় ঢাকায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৩:৪১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৩

এক সপ্তাহেভোরের ব্যবধানে একাধিক ভূমিকম্পের ধাক্কার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের মণিপুর এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৃদু কম্পনে কেঁপে উঠল সিলেট ও কক্সবাজারের টেকনাফ শহর। এসব ছোট ভূমিকম্পের পরপরই বড় আতঙ্কে রয়েছেন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পরপর দুটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়:
| স্থান | সময় ও তারিখ | রিখটার স্কেল মাত্রা | উৎপত্তিস্থল | গভীরতা |

সিলেট | রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড | 3.4 | ভারতের মণিপুর | N/A
| টেকনাফ | রাত ৩টা ২৯ মিনিট | 4.0 | বঙ্গোপসাগর (টেকনাফ থেকে ১১৮ কিমি দূরে) | ১০ কিমি (EMSC) |
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন নিশ্চিত করেন, মণিপুর থেকে সৃষ্ট কম্পনটি মৃদু হওয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তেমন একটা অনুভূত হয়নি। অন্যদিকে, ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ৪ মাত্রার কম্পনটিও টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ টের পাননি।

গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে 5.7 মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যাতে অন্তত ১০ জন মানুষ প্রাণ হারান। এই ঘটনার পরদিনও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। এর ফলে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, বাংলাদেশে বিপদের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি সমীক্ষা। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী: পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্ট বা ফাটল রেখায় যদি 6.9 মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়, তবে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা আছে।
>

সর্বাধিক পঠিত

বেনাপোলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কাঁপল সিলেট-টেকনাফ; রাজউক সমীক্ষায় ঢাকায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

আপডেট: ০৩:৪১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

এক সপ্তাহেভোরের ব্যবধানে একাধিক ভূমিকম্পের ধাক্কার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের মণিপুর এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৃদু কম্পনে কেঁপে উঠল সিলেট ও কক্সবাজারের টেকনাফ শহর। এসব ছোট ভূমিকম্পের পরপরই বড় আতঙ্কে রয়েছেন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পরপর দুটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়:
| স্থান | সময় ও তারিখ | রিখটার স্কেল মাত্রা | উৎপত্তিস্থল | গভীরতা |

সিলেট | রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড | 3.4 | ভারতের মণিপুর | N/A
| টেকনাফ | রাত ৩টা ২৯ মিনিট | 4.0 | বঙ্গোপসাগর (টেকনাফ থেকে ১১৮ কিমি দূরে) | ১০ কিমি (EMSC) |
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন নিশ্চিত করেন, মণিপুর থেকে সৃষ্ট কম্পনটি মৃদু হওয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তেমন একটা অনুভূত হয়নি। অন্যদিকে, ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ৪ মাত্রার কম্পনটিও টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ টের পাননি।

গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে 5.7 মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যাতে অন্তত ১০ জন মানুষ প্রাণ হারান। এই ঘটনার পরদিনও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। এর ফলে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, বাংলাদেশে বিপদের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি সমীক্ষা। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী: পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্ট বা ফাটল রেখায় যদি 6.9 মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়, তবে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা আছে।
>