শার্শা, যশোর: আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর–১ (শার্শা) আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি শার্শা থানার ৭ নং কায়বা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ধানতারা ও কোটা গ্রামে দুটি পৃথক উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় মানুষকে আবেগপ্রবণ বার্তা দিয়ে তাঁর নির্বাচনী এজেন্ডা তুলে ধরেন।
স্থানীয়দের প্রতি আন্তরিক বার্তা
স্থানীয়দের প্রতি সন্তানের মতো আন্তরিকতা প্রকাশ করে মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন:
> “আমি আপনাদের ঘরের সন্তান। আপনাদের কাছে কোনো রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, সন্তানের মতো আন্তরিক একটি আবদার নিয়ে এসেছি। নির্বাচিত প্রতিনিধি না হলেও আমি এলাকার মানুষের জন্য যতটুকু পেরেছি করেছি—বিনা পয়সায় বহু তরুণ–তরুণীর সরকারি–বেসরকারি চাকরির ব্যবস্থা করেছি।”
>
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, “ইনশাল্লাহ, এমপি নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি—এই এলাকার সব অপকর্মের অবসান ঘটাবো।”
উন্নয়ন ও স্বপ্নের শার্শা
ক্ষমতা বা বিলাসিতা নয়, শার্শার মানুষের জীবনমান উন্নয়নই তাঁর একমাত্র স্বপ্ন জানিয়ে তিনি বলেন:
* দারিদ্র্য বিমোচন: শার্শার মানুষ যেন তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারে, উন্নত কাপড় পরে, ঘরে ঘরে চাকরি থাকে, মা–বোনেরা স্বাবলম্বী হয়।
* শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম: ঘরে ঘরে শিক্ষিত মানুষ তৈরি হয়, নতুন প্রজন্ম জ্ঞান ও নৈতিকতার আলোয় আলোকিত হয়।
* জলাবদ্ধতা মুক্তি: ধানতারা ও কোটা গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় আধুনিক সুইচগেট নির্মাণ, খাল খনন এবং বৈজ্ঞানিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে।
* ভারতের আগ্রাসন রোধ: ভারত যখন পানি ছেড়ে কৃষি ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা বন্ধে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খালকাটা কর্মসূচি পুনরায় চালু হবে এবং শার্শাকে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা হবে।
জামায়াতের ধর্মীয় প্রচারণার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের বিভ্রান্তিমূলক ধর্মীয় প্রচারণার বিষয়ে তিনি সতর্ক করেন:
> “মায়েরা, আপনারা কুরআনে হাত রেখে সত্য বলেন; কিন্তু নির্বাচনের নামে ধর্মকে ব্যবহার করে যারা আপনাদের ভয় দেখায়—তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে জান্নাত, না দিলে জাহান্নাম—এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া এবং ধর্মের অপব্যবহার।”
>
তিনি পরিষ্কার করেন যে, ভোটের সঙ্গে জান্নাত–জাহান্নামের কোনো সম্পর্ক নেই।
গণসংযোগে উদ্দীপনা
উঠান বৈঠক শেষে তিনি কোটা বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন এবং সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি গণসংযোগে অংশ নেন। তাঁর এই আন্তরিক প্রচারে দলীয় কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।
আবেগভরে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নের সুযোগ দিন। শার্শার মানুষের জন্য কাজ করতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং তারেক রহমানকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আপনাদের সমর্থনই আমার শক্তি।”
উপস্থিত ছিলেন যারা
এ সময় উপস্থিত ছিলেন: যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইনদাদুল হক ইমদাদ, থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু, থানা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ, থানা বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, শার্শা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপন, যশোর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন টিপু সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।