০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

আখাউড়ায় ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উন্মোচন: তিনজনকে গ্রেফতার করল পিবিআই

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সবজি বিক্রেতা মর্জিনা বেগম (৪৫) হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার আখাউড়া সড়কবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
* নিহত: মর্জিনা বেগম (৪৫), পৌর এলাকার দেবগ্রাম গ্রামের ইসমাইল মিয়ার স্ত্রী। তিনি সড়কবাজারে পরিচ্ছন্নতার কাজ ও সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করতেন এবং দৃষ্টিহীন স্বামীর সঙ্গে নয়াবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
* শহিদুল ইসলাম (৪৩), মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের বাসিন্দা।
* শফিক (৪০), হবিগঞ্জের রানীগঞ্জের বাসিন্দা।
* রুমান মিয়া (২৪), হবিগঞ্জের গয়েরপুরের বাসিন্দা।
গ্রেফতার হওয়া তিনজনই আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদপাড়া লাল মিয়া হাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পিবিআই-এর তদন্তে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর ভোররাতে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে ‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে মর্জিনা বেগমকে কৌশলে ডেকে নেওয়া হয়। পরদিন (২৬ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে আখাউড়া পৌরসভা কার্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহে গলায় চাপ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
* পরিকল্পনা ও ধর্ষণ: তদন্তে উঠে আসে, বাজার এলাকার দারোয়ান শহিদুল ইসলাম কৌশলে ফোন করে মর্জিনা বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ফোন করার মাত্র ১৪ মিনিটের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন। শহিদুল ইসলাম প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন।
* শ্বাসরোধে হত্যা: এরপর তার সহযোগী শফিক ও রুমান মিয়া মর্জিনা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। বাধা দেওয়ায় তিনজন মিলে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। একপর্যায়ে একজন গলা চেপে ধরে এবং অন্য দুইজন হাত-পা চেপে ধরে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ঘটনার পর শহিদুল ইসলাম মোবাইল হারানোর নাটক করলেও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে তার মোবাইল ব্যবহার শনাক্ত হয়।
* গ্রেফতার: ২৬ নভেম্বর আখাউড়া সড়কবাজার এলাকা থেকে প্রথমে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে মসজিদপাড়া এলাকা থেকে শফিক ও রুমানকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
* স্বীকারোক্তি: গ্রেফতারকৃত তিনজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের সুপার শচীন চাকমা বলেন, “এটি একটি নৃশংস ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজের সহায়তায় আমরা দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছি।”

যশোরে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ না দেওয়ায় ফার্মেসিতে হামলা

আখাউড়ায় ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উন্মোচন: তিনজনকে গ্রেফতার করল পিবিআই

আপডেট: ০৭:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সবজি বিক্রেতা মর্জিনা বেগম (৪৫) হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার আখাউড়া সড়কবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
* নিহত: মর্জিনা বেগম (৪৫), পৌর এলাকার দেবগ্রাম গ্রামের ইসমাইল মিয়ার স্ত্রী। তিনি সড়কবাজারে পরিচ্ছন্নতার কাজ ও সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করতেন এবং দৃষ্টিহীন স্বামীর সঙ্গে নয়াবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
* শহিদুল ইসলাম (৪৩), মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের বাসিন্দা।
* শফিক (৪০), হবিগঞ্জের রানীগঞ্জের বাসিন্দা।
* রুমান মিয়া (২৪), হবিগঞ্জের গয়েরপুরের বাসিন্দা।
গ্রেফতার হওয়া তিনজনই আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদপাড়া লাল মিয়া হাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পিবিআই-এর তদন্তে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর ভোররাতে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে ‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে মর্জিনা বেগমকে কৌশলে ডেকে নেওয়া হয়। পরদিন (২৬ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে আখাউড়া পৌরসভা কার্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহে গলায় চাপ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
* পরিকল্পনা ও ধর্ষণ: তদন্তে উঠে আসে, বাজার এলাকার দারোয়ান শহিদুল ইসলাম কৌশলে ফোন করে মর্জিনা বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ফোন করার মাত্র ১৪ মিনিটের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন। শহিদুল ইসলাম প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন।
* শ্বাসরোধে হত্যা: এরপর তার সহযোগী শফিক ও রুমান মিয়া মর্জিনা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। বাধা দেওয়ায় তিনজন মিলে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। একপর্যায়ে একজন গলা চেপে ধরে এবং অন্য দুইজন হাত-পা চেপে ধরে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ঘটনার পর শহিদুল ইসলাম মোবাইল হারানোর নাটক করলেও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে তার মোবাইল ব্যবহার শনাক্ত হয়।
* গ্রেফতার: ২৬ নভেম্বর আখাউড়া সড়কবাজার এলাকা থেকে প্রথমে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে মসজিদপাড়া এলাকা থেকে শফিক ও রুমানকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
* স্বীকারোক্তি: গ্রেফতারকৃত তিনজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের সুপার শচীন চাকমা বলেন, “এটি একটি নৃশংস ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজের সহায়তায় আমরা দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছি।”